আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ হিসেবে আরাম মিলতে পারে ২২ ডিসেম্বরের দিকে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈতপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবারের (১৯ ডিসেম্বর) চেয়ে তাপমাত্রা শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেনি বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ। গতিও আগের মতোই। ফলে রাজধানীসহ সারাদেশেই শীতের প্রকোপ তীব্র। পূর্বাভাসে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকার কথা থাকলেও সেটা গড়াচ্ছে দুপুর পর্যন্ত। এমনকি নেই সূর্য কিরণের দেখা।
বর্তমানে বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। আবার বাতাসের গতিবেগও ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে। ফলে শীতের প্রকোপ আছে আগের মতোই।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) যেটা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছিল।
এছাড়া ঢাকাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের এই অবস্থায় সবচেয়ে ঠাণ্ডা হচ্ছে কুমিল্লা। সেখানে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য সবচেয়ে কম।
ঠাণ্ডার টানা কয়েকদিনে দেশবাসীকে ব্যাপক কষ্টের মধ্যে ফেলেছে। বিশেষ করে অসহায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বেড়েছে ওষুধ বিক্রি
রাজধানীতে দিনের বেলাতেও শীতের সবচেয়ে মোটা কাপড় পরে বের হতে হচ্ছে। অনেককে হাত মোজা, উলের টুপি পরতেও দেখা যাচ্ছে।
এ অবস্থায় বেড়ে গেছে মোজা, গেঞ্জি, সোয়েটারসহ শীতবস্ত্রের দাম। এরপরও ব্যস্ততা শীতবস্ত্রের দোকানে। কদর বেড়েছে ফুটপাতের হকারদেরও।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
ইইউডি/টিএ