ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবেশীদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে ‘পাড়া উৎসব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
প্রতিবেশীদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে ‘পাড়া উৎসব’ .পাড়া উৎসবে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক, যোগাযোগ ও বন্ধন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘পাড়া উৎসব’। 

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ৬২ নম্বর রোডে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সামাজিক সংগঠন ‘হিরাজে ফর অল’- এর উদ্যোগে গুলশান সোসাইটি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতা করে।

পাড়া উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গুলশান সোসাইটির নেতাকর্মীসহ বিশিষ্টজনরা।

আয়োজকরা জানান, বর্তমানে শহুরে জীবনে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রতিবেশীদের  সঙ্গে যোগাযোগ নেই। যেখানে একই এলাকার ভেতরে এক প্রতিবেশীর কাছে অপর প্রতিবেশীকে আগন্তুক বলে মনে হয়। সর্বোপরি যা সামাজিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী কমিউনিটিকে দুর্বল করে ফেলছে। আর প্রতিবেশীদের নিজেদের মধ্যে এ সংযোগকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পাড়া উৎসব’।  

এমন আয়োজনের প্রশংসা করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবসময় বলি, সবাইকে নিয়ে আমাদের সবার ঢাকা। আজ আমরা এখানে এসে দেখলাম দাদা-দাদী, নানা-নানী তাদের নাতি-নাতনিদের নিয়ে এ আয়োজনে এসেছেন। বড়রা পাশে বসে নিশ্চিন্তে হয়তো চা খাচ্ছেন, শিশুরা খেলছেন। এর থেকে আনন্দের দৃশ্য আর কি হতে পারে। এ ধরনের আয়োজনে একে অপরের সঙ্গে মেলবন্ধন বাড়ে, যোগাযোগ বাড়ে। বিপদে-আপদে সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি আমরা। এখানে বিভিন্ন রকমের একটিভিটি হচ্ছে যার মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। যেমন এখানে জেব্রা ক্রসিং আঁকা হয়েছে। শিশুরা এখান থেকেই জেব্রা ক্রসিংয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়ে সচেতন হয়ে বেড়ে উঠবে।  

এমন আয়োজন ডিএনসিসির অন্যান্য ওয়ার্ডেও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, অনেকেই বলে পুরান ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্য রয়েছে। সেখানে অনেক কিছু হয়। আজ আমাদের এখানে যে আয়োজন হলো এটি অন্যান্য ওয়ার্ডে ও হওয়া উচিত। আমি সব কাউন্সিলরদের এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি প্রতিটি ওয়ার্ডে এমন আয়োজনে ডিএনসিসি সবধরনের সহায়তা করবে।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের অনুষদ সদস্য ও হিরাজে ফর অল এর প্রতিষ্ঠাতা ড. রেহনুমা করিম, গুলশান সোসাইটির ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিভিল সোসাইটির আহ্বায়ক শায়ান শেরাজ, মেরিল অ্যান্ড ফোর্বস'র প্রতিষ্ঠাতা ও হিরাজের ফর অল'র পর্ষদ সদস্য তাজরীন মান্না।  
 
এ উৎসব আয়াজনে ছিল নানা ধরনের প্রতিযাগিতা, ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, সম্ভাবনাময় প্রতিবেশীদের জন্য ওপেন-মাইক সেশন, স্টোরিটেলিং কর্নার, সুস্বাস্থ্য ও ভালো থাকা নিয়ে তথ্য বিষয়ক স্টল, পিঠা উৎসব এবং শিল্পকলা ও হস্তশিল্প নিয়ে মিনি-ওয়ার্কশপ। এছাড়াও প্রতিবেশীদের সবাইকে নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্তের আবহ তৈরিতে ছিল ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।