শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করা মাত্রই সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ পর্যন্ত সম্মেলনস্থলে থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। যার ফলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে৷ অনেকে রমনা পার্কের অস্তাচল গেট দিয়ে প্রবেশ করে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন৷
মিরপুর থেকে সেগুনবাগিচায় যাচ্ছিলেন সাজেদুর রহমান৷ তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর প্রবেশের পর রাস্তা খুলে দেওয়া হবে৷ নিরাপত্তার কারণে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছি৷
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবন-শাহবাগ হয়ে যেসব গাড়ি ধানমন্ডি ও ফার্মগেট যাওয়ার, সেগুলো ঘুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় হয়ে যাতায়াত করছে৷
অন্যদিকে সম্মেলনে অংশ নিতে না পারা নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন রমনা পার্কসহ শাহবাগ মোড়ে। চুয়াডাঙ্গা থেকে আগত স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য কাউন্সিলর কার্ড পাইনি। কিন্তু দলের সম্মেলনে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। তাই ছুটে এসেছি। সম্মেলনের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় রমনা পার্কে বসে জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার অপেক্ষা করছি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন। দলের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে স্মরণীয় করে রাখতে সেলফি তুলছেন অনেকেই। সেসঙ্গে আলোচনা করছেন দলকে কারা নেতৃত্ব দেবেন সামনের দিনগুলোতে।
ঢাকার দক্ষিণখানের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সভাপতি পদে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প এখনো আওয়ামী লীগের তৈরি হয়নি। বাকি পদগুলো তিনিই ঠিক করবেন। তার সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্যে আগামী তিন বছরের জন্য দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
ডিএন/এসএ