ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে রাজশাহীতে দুর্ভোগ বাড়ছেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে রাজশাহীতে দুর্ভোগ বাড়ছেই

রাজশাহী: রাজশাহীতে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। উত্তরের হিম বাতাস ও কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছেন পদ্মাপাড়ের মানুষ। 

সূর্য ওঠার কারণে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও সূর্য ডুবতেই কমছে তাপমাত্রা। পৌষের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।

  

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি। বিশেষ করে হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীত নিবারণের জন্য মানুষ যেখানে-সেখানে আগুন জ্বালিয়ে চারপাশ ঘিরে বসে পড়ছেন।  

গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। টানা শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চল। ভোর ও সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ সড়ক। গ্রামগুলোতে শীতের প্রকোপ আরও বেশি।

এছাড়া হঠাৎ করে শীত বাড়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে নবজাতক এবং বৃদ্ধ মানুষ ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল হক জানান, হঠাৎই ঠাণ্ডা বেড়েছে। তাই হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।