শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর সামান্য সময়ের জন্য রোদ উঠলেও তাতে উত্তাপ ছিল না। শীতের তীব্রতায় সন্ধ্যার পর জনশূন্য হয়ে পড়ছে শহর।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, চলতি মাসের মাঝ থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার একটু বেড় তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমের প্রথম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা দিন দিন আরও কমবে। বর্তমানে মৃদু শৈত প্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। এ মাসের শেষ দিকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর আগামী মাসের প্রথম দিকে শীত আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জেলার হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পাবনা অঞ্চলে সবচাইতে বেশি শীত অনুভব হয় ঈশ্বরদী উপজেলায়।
অন্যদিকে শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া অনেক দরিদ্র দিনমজুর ঘরের বাইরে কাজ কর্মে যেতে পারছে না। তবে পেটের দায়ে কিছু কিছু কৃষক বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও মাঠে কাজ করছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ৩৮ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে তা ৯টি উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোনো অসহায় মানুষ এবার শীতে কষ্ট পাবেন না। জেলা প্রশাসন এবং অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে নিজ নিজ অঞ্চল ও গ্রামে সাহায্য করে থাকে।
সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষগুলোর পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
আরএ