এছাড়া হাওরাঞ্চলবাসীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অতিদরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ সংক্রান্ত ৫শ কোটি টাকার একটি সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি চলমান।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ফজলে হাসান আবেদের চাচাতো ভাই ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নিজবাড়িতে এলে এলাকার মানুষকে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করতেন ফজলে হাসান আবেদ। ইতোমধ্যে বানিয়াচংয়ে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ব্র্যাকের মাধ্যমে শতাধিক প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। যতবারই আসতেন হাওরে মাছের পোনা অবমুক্ত করতেন। রয়েছে আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন নামে একটি গার্মেন্টসও। এতে কর্মরত এলাকার কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী।
সবশেষ ‘নজমুল হাসান একাডেমি’ নামে প্রথম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আরো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এতে ব্যয় হচ্ছে পাঁচ কোটি টাকা। একমাস আগে নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের জন্য অসুস্থ শরীর নিয়েই হেলিকপ্টারযোগে বানিয়াচংয়ে আসেন।
মুকিম উদ্দিন নামে বানিয়াচংয়ের এক ব্যক্তি জানান, স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে তিনি প্রথম শ্রেণিতে এবং মক্তবে লেখাপড়া করেছেন। মাঠে খেলাধুলাও করেছেন একসঙ্গে। অত্যন্ত মেধাবী এবং লেখাপড়ায় মনযোগী ছিলেন তিনি। খেলাধুলায় ছিলেন পরাদর্শী।
যখনই বানিয়াচংয়ে আসতেন বাল্যকালের সহপাঠীদের খোঁজ নিতেন সব সময়। মুকিম উদ্দিনকেও একাধিকবার দেখে গেছেন তিনি।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লন্ডনে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে পড়ালেখা করেন। ১৯৬২ সালে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে উত্তীর্ণ হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এএ