শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জেলার সদর উপজেলার সুন্দরা মংলা প্রাইমারি স্কুলের মাঠ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকসেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও সুন্দরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে রানা (২৪)।
র্যাব জানিয়েছে, মোকসেদুল ইসলাম টুকলু এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ রানা ওরফে রানা গণধর্ষণের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার কাছ থেকে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে জানানো হবে।
র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃতদের দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, র্যাব ২ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এসময় মঙ্গলার বাজার এলাকায় তিনজন তাকে চ্যাংদোলা করে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীটি জ্ঞান হারালে ধর্ষণকারীরা মৃত ভেবে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পুকুরে ফেলার পরে জ্ঞান ফিরলে কোনো রকমে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে এসে মা, খালাসহ পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পরও সুস্থ না হলে পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকছেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও অজ্ঞাতনামা আরও ২ জনসহ মোট ৩ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
আরএ