রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিপি নুরকে দেখতে আসেন তারা।
একপর্যায় আহতদের সহপাঠীরা তাদের ঘিরে রেখে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় নানক বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তারা যে মঞ্চের লোক হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে এই দিন দুপুর ১টার দিকে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়ে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এসেছে। তাদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের দেখভাল করছেন। এদের মধ্যে তুহিন ফারাবি (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নানক আরও বলেন, এতো বর্বর হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। আজকে যেটি হয়েছে বা এর আগের কোনো ঘটনায়ই ঢাবি সহ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সরকার সহ্য করবেনা। ভিপি নুরসহ ছাত্রদের উপর যেই হামলা হয়েছে এখানে রাজনৈতিক কোনো প্রতিহিংসা ব্যাপার নয়, কোনো দুষ্কৃতিকারীরা কোনো জায়গার বা কারোর নির্দিশে ঢাবিতে অশান্ত করার জন্য এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা যে মঞ্চেরই হোক কাউকেই সরকার রেহাই দেবেনা, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। হাসপাতালে যারা স্লোগান দিচ্ছে, তাদেরও কু-মতলব রয়েছে। প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে এদের কু-মতলবের বিষয়ে। আইন রক্ষাকারী বাহিনীও সব বিষয় খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যাবস্থা নেবে।
তিনি আরো বলেন, এখানে গুটি কয়েক ছেলের সঙ্গে গোলোযোগ করছে। সরকারের সঙ্গে আস্থাভোট হয়নি। তাই আমি বলবো সরকারের উপর আস্তা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এজেডএস/এএটি/ওএফবি