সীমান্তের ওপারে দুই দিন ধরে জড়ো করে রেখে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুশ ব্যাক করে তাদের। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ উপজেলার আনন্দবাস মিয়া মুনছুর একাডেমির সামনে থেকে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন- মাদারীপুর জেলার জাজিরা গ্রামের সালাম বেপারীর ছেলে রবিউল ইসলাম ব্যাপারি (২০), কোটাবাড়ি শ্রীনদী এলাকার লিজন হাওলাদারের ছেলে শাকিল হাওলাদার (২১), একই জেলার রাজৈর উপজেলার কাটিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিম মুন্সির ছেলে সিরাজুল মুন্সি (২৫), যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর বুড়িহাটি এলাকার মালেক সর্দ্দারের ছেলে আজিজুল সর্দ্দার (২৩), মনিরামপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আজয়কুমার দাশের ছেলে শিমুল দাশ (৩০), কোতুয়ালী উপজেলার চাকলঘাট এলাকার পান্নুর ছেলে সুমন হোসেন (২০), সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শকশেপুর গ্রামের মৃতু শাহাদৎ হোসেনের ছেলে রিপন সর্দ্দার (২২) ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি গ্রামের রতন মোল্লার ছেলে মানিক হোসেন মোল্লা (২৫)।
জানা যায়, ভারতের ৮১ বিএসএফ’র জিন্দা ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্ত রেখা ১০৫/৪ এস’র কাছে বীলতলা এলাকা দিয়ে পুশ ব্যাক করে। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ বেলা আড়াইটার দিকে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস মিয়া মুনছুর একাডেমির সামনে থেকে তাদের আটক করে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাশেম বাংলানিউজকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটকদের সন্ধ্যার দিকে পাসপোর্ট আইনে মামলা দিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে আটকরা জানিয়েছে, ভারতের উত্তর-পশ্চিম বরগুনা দমদম সেন্ট্রাল জেলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খাটার পর বিএসএফ তাদের এক জায়গায় জড়ো করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় আরও ৯ জনকে পুশ ব্যাকের জন্য রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এনটি