সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিল পাড়া মুনলাক্স কম্পোজিট নিট গার্মেন্টস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, সোমবার সকালে আমিনুল নামে ওই গার্মেন্টের এক অপারেটরকে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করে কর্তৃপক্ষ। এরই জের ধরে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় ছাঁটাই হওয়া শ্রমিক আমিনুলের সহকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গার্মেন্টসে ভাঙচুর চালায়। এতে গার্মেন্টসটির জিএম মনির ও দুই শ্রমিক আহত হন। আহত তিনজনের মধ্যে দু’জনকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এসময় গার্মেন্টসের অফিস কক্ষ, ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কক্ষ ও কনফারেন্স রুম ভাঙচুর করেন।
শ্রমিকরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই সকালে কাজে যোগদানের পর শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিবাদ জানালে তাদেরকে মারধর করে মালিকপক্ষের লোকজন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরাও প্রতিরোধ করলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হলে ১৫ জন আহত হন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, গার্মেন্টসের বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছি। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে না নিলে এবং শ্রমকিরা অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে।
মালিক মহিউদ্দিনের দাবি, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গার্মেন্টসে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে গার্মেন্টসের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওই শ্রমিক স্বেচ্ছায় এ মাসের পর চাকরি করবে না বলে জানানোর পর তার পাওনাদি আমরা তাকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু পাওনাদি পাওয়া সত্ত্বেও সে আরো ২৫-৩০ জনকে অগ্রিম তিন মাসের পাওনা নিয়ে বের হয়ে যেতে আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করছিলো। আমরা তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা গার্মেন্টস ভাঙচুর করে এবং জিএমকে মারধর করে। এতে তার চারজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
জেডএস