তিনি বলেন, সেখানে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাতে কারো উসকানি বা ইন্দন ছিল কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। আমরা আগেও দেখেছি ডাকসু ভিপি নুর আলোচনায় থাকতে চান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে গতকাল, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। আমরা কখনো এ ধরনের হামলাকে সমর্থন করি না। তবে এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়, নুর কেন বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে গেলেন, এতগুলো বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে যাওয়ার কী প্রয়োজন ছিল। আপনারা দেখেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আছে। রাজনৈতিকভাবে সরকারকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ, যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়, সেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ভারতের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সেখানে আন্দোলন করার চেষ্টা ডাকসুর কাজ নয়, তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের বিষয় নিয়ে কথা বলা। যেটার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা দরকার সেটা না করে ভারতের বিষয় নিয়ে আন্দোলনের চেষ্টা এবং বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়া, এগুলো ঘটনা ঘটানোর জন্য ইন্দন আছে কিনা, তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।
এ ঘটনার তদন্ত হবে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই এটা তদন্ত হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এ ঘটনা অগ্রহণযোগ্য, অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। একই সঙ্গে আমি প্রশ্ন রেখেছি কোনো ইন্দন ছিল কিনা, কারণ কেউ কেউ আলোচনায় থাকতে চায়। আর বহিরাগতদের উপস্থিতি নিয়ে বাকবিতণ্ডর পরেই কিন্তু এ ঘটনা ঘটেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হামলার পরপরই আমাদের দলের দু’জন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সেখানে গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে, তারা দলের অবস্থানের কথা পরিষ্কার করেছেন। আজকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দল ও সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন। আমাদের বক্তব্যও একই, আমরা এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। যারাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের ব্যানারে ছাত্রলীগ-ছাত্রফ্রন্ট এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যেকোনো সংগঠনের নেতারা থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে।
এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরের রুমসহ ডাকসু ভবনে ভাঙচুর চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এসময় নুরসহ আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পরে তুহিন ফারাবীকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর ফারাবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস