ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিত্রা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
চিত্রা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মরা চিত্র নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামানের নেতৃত্বে চিতলমারী বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।  

এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান খান, চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ উচ্ছেদ অভিযানে মরা চিত্রা নদীর পাড়ে অবস্থিত পাকা-আধা পাকা ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে এ নদীকে পুনঃখননও করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এর আগে সকাল ১০টায় বাগেরহাট শহরের দড়াটানা সেতুর নিচে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দীর্ঘদিন পরে মরা চিত্রা নদীর তীরের দখলদারদের উচ্ছেদ ও পুনঃখননে খুশি স্থানীয়রা।  

স্থানীয় রবিন শিকদার বলেন, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মরা চিত্রা নদীর বেশিরভাগ অংশ অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছেন। অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ হলে চিতলমারীর জনগণের উপকার হবে। চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সঙ্গে প্রধান বাজারের নৌ যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবে।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম বলেন, মরা চিত্রার তীরে উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সরকারি জমি দখলমুক্ত হবে। উচ্ছেদের পরে আবার কেউ যাতে দখল না করতে পারে সেই দিকে আমাদের নজর থাকবে। বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে আমাদের একটি সড়ক নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে নদী পথে লোকজন এসে সহজে বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, চিত্রা নদীর পাড়ের প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করব। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪ হাজার ২শ একর জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান না হওয়ার ফলে বেশ কিছু জমি বেদখল রয়েছে। জেলার ছোট বড় ৩০টি নদী ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি এসব খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পুনঃখনন করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।