বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর এলাকার মজির আলীর মেয়ে স্বর্ণা আক্তার (১০)।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা আক্তার জন্মের পর তার বাবা মজির আলী মারা যান। এরপর স্বর্ণার মা রুপালী বেগমের সঙ্গে একই এলাকার মশিউর রহমান ওরফে ডংগার সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে সৎ বাবা মশিউর রহমান ও মা রুপালী বেগমের সঙ্গে স্বর্ণা ও তার ভাই রুবেল হোসেন কালিয়াকৈরের সফিপুর আহম্মদ নগর এলাকায় আসে। সেখানে বাসা ভাড়া থেকে স্বর্ণা স্থানীয় আব্দুল্লাহ মডেল পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয় এবং তার ভাই রুবেল ও মা রূপালী বেগম পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। কিন্তু সৎ বাবা মশিউর রহমান কাজ না করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে মা ও সৎ বাবা মশিউরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। বৃহস্পতিবার সকালে তার মা ও সৎ বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্বর্ণার মা রূপালী ও বড় ভাই রুবেল কারখানায় কাজে চলে যায়। বিকেলে তাদের বাসার পাশের খালি একটি কক্ষে স্বর্ণার গলা কাটা মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মশিউর রহমান ধারালো চাকু দিয়ে স্বর্ণাকে জবাই করে হত্যা করে। পরে সে পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
আরএস/এইচএডি/