ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুতে বছরের শেষ স্প্যান বসছে ৩০ ডিসেম্বর!

সাজ্জাদ হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
পদ্মাসেতুতে বছরের শেষ স্প্যান বসছে ৩০ ডিসেম্বর! পদ্মাসেতুর স্প্যান। ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: কাজ শুরুর পর থেকে (২০১৪ সাল) পদ্মাসেতুর জন্য সবচেয়ে সফল বছর ২০১৯ সাল! সব জটিলতা শেষ করে এ বছরই মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুতে বসেছে একে একে ১৩টি স্প্যান। চলতি মাসেই বসেছে দুটি স্প্যান। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯টি স্প্যানে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতুর ২৮৫০ মিটার।

আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৩০ ডিসেম্বর বসতে যাচ্ছে পদ্মাসেতুর ২০তম স্প্যান। এই স্প্যান বসলে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সেতুর মোট তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।

দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর তিন কিলোমিটার।

পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বাংলানিউজ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৩০ ডিসেম্বর সেতুর ২০তম স্প্যান বসানোর শিডিউল রয়েছে, তবে এক দুই দিন এদিক সেদিক হতে পারে। এখন প্রতি মাসে তিনটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ শিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে।

জানা গেছে, ২০তম স্প্যান হিসেবে ‘৩-এফ’ সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের উপর বসানোর কথা। আবহাওয়া ও কারিগরি কোনো সমস্যা দেখা না দিলে ৩০ তারিখেই স্প্যান বসবে। আর ২০তম স্প্যান বসানোর পর সেতুর মোট তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।

পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজন। ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেনে করে প্রতিটি স্প্যান মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে পিলারে বসানো হয়।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানিয়েছে, ১৯তম স্প্যান বসানোর ১২ দিনের মাথায় বসানো হচ্ছে ২০তম স্প্যানটি।  

জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ১৯টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে।

৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।