সিরাজগঞ্জ এলাকার হাটিকুমরুল গোলচত্বরের কাছে তার চায়ের দোকান। সারারাত পার হয়ে গেলেও চা বিক্রি বন্ধ নেই তার।
আছির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটাই তার একমাত্র উপার্জনের উৎস। চা বিক্রি এখন তার নিত্যদিনের কাজ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনোমতে খেয়ে-পরে দিন কাটিয়ে দিতে পারলেই নিজেকে সুখী মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু দিনের বেলায় দোকান করে সংসার চালানো খুন কঠিন হয়ে যায়। তাই দিনে অন্য আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে সারারাত তিনি দোকানে বসেন। এতে যে অর্থ পান, তা দিয়ে বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ দিয়ে কোনোমতে সংসারের যোগান দেন তিনি।
আছির উদ্দিন জানান, প্রায় আট বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন। এর আগে প্রায় বিশ বছর তিনি তাঁত বোনার কাজ করতেন। তবে শারীরিক নানা অসুস্থতা এবং সময়ের পরিক্রমায় সে ব্যবসার অবস্থা খারাপ হওয়ায় নিজেকে আর ওই পেশায় রাখতে পারেন নি।
অর্থের অভাবে দিনাতিপাতও করেছেন অনেক দিন। পরে উপায় না পেয়ে চা বিক্রির পথ বেছে নেন আছির। দিন রাত এক করে খেটে পরিবারের জন্য উপার্জন করেন।
তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে আছির উদ্দিনের সংসার। তার দুই মেয়ে ও ছেলে স্কুলে পড়ে। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলাই এখন তার প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
জেআইএম/এবি