শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে কর্মব্যস্ত মানুষের।
এদিকে সকাল থেকে কুয়াশা কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নদী পথে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ভোরের দিকে কুয়াশা একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকে। নদী পথে কুয়াশা থাকায় নৌযান চলাচলে রয়েছে ধীরগতি। লঞ্চ, স্পিডবোট, ফেরি চলাচল করলেও ধীরগতি থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে সময় বেশি লাগছে পারাপার হতে। এদিকে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে নদী পথে সব থেকে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাট-বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি কমে গেছে। খুব দরকার না থাকলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকায় পরিবহন চলাচলেও রয়েছে ধীরগতি।
দূরপাল্লার বাস চালকরা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করেই কুয়াশা বাড়ছে। সামান্য দূরত্বেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। সতর্কতার সঙ্গে অনেকটা ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
ভ্যানচালক সাত্তার ফকির বাংলানিউজকে বলেন, শীত উপেক্ষা করেই রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করেই টিপটিপ বৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যাত্রীও তেমন নেই। এমন আবহাওয়ায় কষ্টের শেষ নাই।
কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রী মাসুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, বরিশাল থেকে ঘাটে এসে নামলাম। রাস্তায় কুয়াশা। ফলে অনেক দেরি হয়েছে গাড়িতে। ঘাট এলাকায়ও ভীষন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বাংলানিউজকে বলেন, ফেরি চলাচল করলেও কুয়াশার কারণে ধীরগতি রয়েছে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও শীতের তীব্রতার কারণেও যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এসআরএস