শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিরামহীন এ বৃষ্টিতে জনজীবনে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এদিকে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন বিপাকে।
শীতের তীব্রতা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে বৃষ্টির মধ্যেই বাগেরহাট শহরের কয়েকটি বস্তিতে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তিন শতাধিক অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। কম্বল পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলায় নিম্ন আয়ের শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
বাগেরহাট শহরের রিকশাচালক মহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। পেটের দায়ে কাজের জন্য এর মধ্যেও বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো লোকজন নেই রাস্তায়। তাই আয়ও নেই।
দিনমজুর ওসমান গনি বলেন, প্রতিদিন কাজ করে যা পাই তা দিয়েই সংসার চালাই। দিন আনি দিন খাই। কিন্তু বছরের বিভিন্ন সময় অনাবৃষ্টি, অতিরিক্ত খড়া ও অতিরিক্ত শীতে আমাদের বাড়িতে বসে থাকতে হয়।
কচুয়া উপজেলার সাহাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক দুলাল মণ্ডল বলেন, তীব্র শীতের মধ্যে আমরা অনেক কষ্ট করে ধান রোপণ করেছি। খাল ও নদীতে পানি না থাকায় খুব সমস্যায় ছিলাম, ধানের চারা ও রোপণ করা ধান লাল হয়ে যাচ্ছিল। তবে এই বৃষ্টিতে ধানের খুব উপকার হয়েছে। আরও দুই একদিন বৃষ্টি হলেও আমাদের সুবিধা হত।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘু নাথ কর বলেন, হঠাৎ এই বৃষ্টিতে মাঠে থাকা ধানের বীজ ও রোপণ করা ধানের চারার অনেক উপকার হয়েছে। রবিশস্যেরও উপকার হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় তা হলে মাঠে থাকা রবী সশ্য ও সবজির কিছু ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
আরএ