শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ কথা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এলাকাটির একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটির হাত বাঁধা ছিল, এমন চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া গলায় নখের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মুখেও আঘাত রয়েছে। একইসঙ্গে শিশুটির মুখে কাপড় জাতীয় কিছু একটা ঢোকানো হয়েছিল। এক কথায় শিশুটিকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
তবে হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না, তা জানার জন্য হাইভেজেনাল সপ সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এই রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইয়াসিন মুন্সি আরেক ভাড়াটিয়ার ছেলে এনামুলের (১৫) বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
ময়নাতদন্তের পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে মর্গ থেকে শিশুটির মরদেহ ভাটারার বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা।
আরও পড়ুন>> ভাড়াটিয়ার ঘরে মিললো শিশুর হাত-পা বাঁধা মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এজেডএস/টিএ