মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটরদের (দ্বিতীয় ব্যাচ) বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন মামলা করছে, গ্রেফতার করছে এবং কোনো কোনো মামলায় সাজাও হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে কমিশন অনেককেই গ্রেফতার করছে। বিগত সাড়ে তিন বছরে ৮০টি মামলা পরিচালনা করে প্রায় একশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে কি ঘুষ খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়েছে? হয়তো হয়নি। কিন্তু যখন ঘুষখোরদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে অন্য ঘুষখোররা হয়তো শঙ্কিত হচ্ছে। এটাই প্রদর্শনের প্রভাব। কমিশন এ কাজটিই করছে।
'তাত্ত্বিকভাবে বলা যায় কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা হওয়া উচিত। কারণ কমিশনের প্রতিটি মামলা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। এখানে শোনা কথার স্বাক্ষির প্রয়োজন নেই। তারপরও কেন শতভাগ মামলায় সাজা হচ্ছে না? তবে গলদটা কোথায়?'
এসময় তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, মামলায় হেরে যাওয়ার পেছনে অভিযোগপত্রের ত্রুটি, না-কি প্রসিকিউশনের ত্রুটি, না অন্য কিছু। এগুলো আপনারা চিহ্নিত করবেন।
তিনি বলেন, আপনারা নামীদামি আইনজীবী, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনাদের যোগ্যতা ও কাজের অনুপাতে কমিশন থেকে অর্থ দেওয়া হয় না। একথা ঠিক। তবে সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনারা দুর্নীতির মতো সর্বভুক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এটা আপনাদের মিশন বলে আমার মনে হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি বিভাগের অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
ডিএন/এসএ
.jpg)
