ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ নিয়েও প্রয়োজন সচেতনতা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ নিয়েও প্রয়োজন সচেতনতা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বায়ুদূষণ বড় ধরনের হুমকি।

ঢাকা: আমাদের অনেকেরই ধারণা, অভ্যন্তরীণ বাতাসের চেয়ে বাইরের বাতাস বেশি বিষাক্ত, আসলে কি তাই? গবেষকরা বলছেন, আসল চিত্র তেমন নয়। অভ্যন্তরীণ কক্ষের অর্থাৎ সাধারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের বায়ু দূষণের পরিমাণ বাইরের বায়ু দূষণের চেয়ে দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্মুক্ত স্থানের বাতাসের চেয়ে তা একশ গুণ বেশি হয়ে থাকে। বাড়ি-ঘর পরিষ্কার, নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনার ধুলিকণা, রান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানি ও প্রযুক্তি, তাপ উৎপাদনকারী বিভিন্ন সামগ্রী এবং আলোর বিভিন্ন ধরনের উৎস অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।

দেশে শীতের আমেজ বইছে। শীতের কবল থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এ সময় খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখি।

এ কারণে ঠাণ্ডা বাতাস আমাদের ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না, যা অভ্যন্তরীণ বাতাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভেতরের দূষিত বায়ু ঘর থেকে বের হতে না পারলে তা আরও ক্ষতিকর রূপ ধারণ করে। এর ফলে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং ধুলিকণা খুব সহজেই যে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে, যদি না তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

বর্তমানে, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। ভাইরাসটি নতুন হওয়াতে এখনো এর কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। আপাতত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা ও ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরার কথা বলেছেন তারা।

বায়ুবাহিত ভাইরাস থেকে প্রতিকারে ঘরে রাখা যেতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার। বাজারে অনেক রকমের এয়ার পিউরিফায়ার রয়েছে কিন্তু অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ভালো মানের এয়ার পিউরিফায়ার। অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ হ্রাস এবং সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে স্যামসাংয়ের তিনটি মডেলের অত্যাধুনিক এয়ার পিউরিফায়ার দারুণ সমাধান হতে পারে।

বায়ুতে ভেসে বেড়ানো অ্যালার্জির জীবাণু দূর করে স্বস্তিদায়ক বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে এ পিউরিফায়ারগুলো। পাঁচ মাত্রার পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালার্জেন, বড় ধূলিকণা, ক্ষতিকারক গ্যাস, অতি ক্ষুদ্র ধূলিকণা এবং জীবাণু শোধনের ক্ষমতা আছে এর। তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে কাজ করতে সক্ষম এয়ার পিউরিফায়ারগুলো।

বায়ুবাহিত ভাইরাস থেকে প্রতিকারে ঘরে রাখা যেতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার। সর্বোচ্চ ১০০০ স্কয়ার ফিট এবং সর্বনিম্ন ৪২০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত করার ক্ষমতা সম্পন্ন এয়ার পিউরিফায়ারগুলোর ওজনও বেশ কম এবং সহজে অপারেট করা যায়। এছাড়া, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সর থাকায় খুব সহজেই ধুলা ও গ্যাসসহ পিএম২.৫ মাইক্রোমিটারের মতো অতি ক্ষুদ্র জীবাণু শনাক্ত করার পাশাপাশি এয়ার পিউরিটি ডিসপ্লের কারণে ব্যবহারকারীরা ঘরের অভ্যন্তরে বাতাসের মান সম্পর্কেও জানতে পারেন।

পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বায়ুদূষণ বড় ধরনের হুমকি। বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা প্রায় অসম্ভব। তবে, নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। একটি সঠিক পদক্ষেপ নানা রোগ থেকে নিজেদের রক্ষার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।