ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান কনকর্ড আর্কেডিয়ার ব্যবসায়ীরা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান কনকর্ড আর্কেডিয়ার ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন।

ঢাকা: রাজউকের নকশা অনুযায়ী নির্মিত ভবনের আকৃতি ভাঙতে নিষেধ করায় ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কনকর্ড আর্কেডিয়া শপিংমলের ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি রোড-৪, প্লট-১ ও ২ কনকর্ড আর্কেডিয়া শপিংমল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সানাউল হক নীরু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহমেদ বাবু, সহ-সভাপতি একেএম সাইদুর রহমান, আল-আমিন,সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবিদুর রহমান (শাহিন), খোরশেদ আলম, মিজানুর আহমেদ,  ইমতিয়াজ করিম শুভ, ফকরুল ইসলাম।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সানাউল হক নীরু বলেন, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালের এমডি ডা. এমএ শামীমের নেতৃত্বে বিপুল পরিমান লোকজন লাঠিসোটা ও মারাত্বক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শপিংমলে হামলা চালায়। তারা মলের পশ্চিম দিকের মেইন গেটের গ্লাসডোরসহ গেটের ওপর গ্লাস ভাঙচুর করে। এছাড়াও মলে থাকা ব্যাংকের এটিএম বুথ, লিফট ও নিচতলার ১০১ নম্বর দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় তাদের হামলায় মলের সিকিউরিটি গার্ডসহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েনে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। পরে পুলিশ এলে হামলাকারীরা চলে যায়। কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে পুনরায় আবার হামলা চালায় তারা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন হামলাকারীরা। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে একজন চিকিৎসকসহ সাতজনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে আমরা শপিংমলের শাটার বন্ধ করে ভেতরে মিটিং করা অবস্থায় আমাকেসহ ৫জনকেও আটক করে নিয়ে যায়। আমরা জামিনে বেরিয়ে আসি।

নীরু আরও বলেন, রাজউকের নকশা অনুযায়ী ২০০২ সালের ১ নভেম্বর শপিংমলটি উদ্বোধন করা হয়। ওই নকশার উপর ভিত্তি করেই এখানে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানসহ বিভিন্ন পজিশন ক্রয় করেন। কিন্তু ২০০৫ হঠাৎ করে জানা যায়, কনকর্ড কর্তৃপক্ষ অধিক মুনাফার জন্য মার্কেটের তিনতলার ৩০১-০৫১ চারতলার ৪০১ থেকে ৪৫১ এবং পাঁচতলার সাত হাজার বর্গফুট ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে বিক্রি করে দেয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওই দোকানগুলো ভেঙে হাসপাতাল নির্মাণ করতে চাইলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। কারণ হাসপাতালের লোকজনের কারণে তাদের ব্যবসার চরম ক্ষতি হতে থাকে। এই নিয়ে একাধিক মামলা ও জিডি দায়ের করা হয়। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের কথা না শুনে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে সবকিছু দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের এ কর্মকাণ্ডে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সঠিক বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা করছেন শপিংমলের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।