সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নের পর চ্যাম্পিয়ন হচ্ছিলো। সেই অবস্থান থেকে আজ দেশকে আমরা বের করে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে, শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে এগিয়ে গেছি। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। যখন এই কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন তখন অনেকেই হাসতো। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন আজ বাংলাদেশ বিশ্বের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছিলো। তার আগে দেশে হত্যার হলি খেলা শুরু হয়েছিলো। আমরা এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পেরেছি। জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে আমরা সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দেশে বেড়ে গিয়েছিলো, সেগুলো আমরা দমন করতে পেরেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। ই-পাসপোর্ট চালু করেছি। এখন থেকে পাসপোর্ট নিয়ে আর কারো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোতে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪৬ হাজারের মতো। আর কারাগারে আছে ৮৮ হাজারের বেশি। বন্দির সংখ্যার দিক থেকে কারাগারের উপর চাপ আছে। আমরা শুধু কারাগার বৃদ্ধিই করছি না, কারাগারে যারা আসছে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা দিচ্ছি, যাতে আর ক্রাইমে জড়াতে না পারে। ক্রাইম দমনে আমরা আরও শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছি বলেও সংসদে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এসকে/জেডএস