সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'চীনে করোনা ভাইরাস আক্রমণ ও আমাদের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন লি জিমিং।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার সবচেয়ে বেশি চীনের উহান শহরে, এটা সত্যি।
চীন এ সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে লি জিমিং বলেন, চীন ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। নিশ্চয়ই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্বে বড় সংকট তৈরি হয়েছে, কিন্তু এ জন্য চীনকে মোটেই দায়ী করা চলে না।
এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীন ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে লি জিমিং বলেন, চীন বিশ্বের ৩০ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে চীন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়বে না, এমন শাবাদ ব্যক্ত করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ভাইরাস শনাক্তে বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপকরণ (কিট) দিচ্ছে চীন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কিটগুলো বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
চীনে অবস্থাঙ্কারী বাংলাদেশিদের এখনই দেশে ফেরত আনা উচিৎ হবে না জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ বাংলাদেশিকে এখনই ফিরিয়ে আনা উচিত হবে না। তারা সেখানে ভালো আছেন। তাদের খাওয়াদাওয়া বা থাকার কোনো সমস্যা নেই।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করোনা ইস্যুতে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উল্লেখযোগ্য সমাধান হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সভায় বক্তারা আরও বলেন, উহান ছাড়া চীনের অন্য শহরের অবস্থা ভালো। অন্যান্য শহর থেকে বাংলাদেশে শিপমেন্ট আসা শুরু হয়ে গেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা সব শিপমেন্ট পাবো বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ চায়না বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মি. যাদব দেবনাথ। এ সময় সাবেক রাষ্ট্রদূত জমির উদ্দিন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডা. সেলিম মাহমুদ, বিসিবিএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট তরুণ কান্তি দাস, অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন>>> করোনা ভাইরাসে চীনা প্রকল্পে প্রভাব পড়বে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
পিএস/এইচজে