মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামি মো. সোহেল ঘরামী (২৭) জেলার নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলী (অ্যাডিশনাল পিপি) আসম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, একই গ্রামের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে দণ্ডিত সোহেল। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও কিশোরীটির পরিবার সোহেলকে চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মেয়েটিকে বিয়ে করতে বলে।
কিন্তু সোহেল তাতে অসম্মতি জানালে বাধ্য হয়ে কিশোরীর বাবা ২০১২ সালের ৩ মার্চ সোহেল ও তাঁর মাসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামালা দায়ের করেন।
আদালত ২০১৩ সালের ২১ নভম্বর অন্য আসামিদের অব্যহতি দিয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি একটি কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন। শিশুটির বর্তমান বয়স পাঁচ বছর।
আদালত শিশুটির ভরণপোষণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলী (অ্যাডিশনাল পিপি) আসম মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমএস/এবি