মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের জন্য অবৈধ ট্রলার ব্যবহার করা হচ্ছে।
তারা বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তিনটি ঘাটে অন্তত শতাধিক মাঝি নৌকা চালায়। ট্রলার চালানোর কারণে মাঝিরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবার নিয়ে তাদের বাঁচাও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
বক্তারা বলেন, বিগত আট বছর শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নৌকার মাঝিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করতেন। সম্প্রতি বেশি টাকা পাওয়ার আশায় তিনি ট্রলার চালানোর পাস দেন। ট্রলার চলার কারণে আমাদের বেশি আয় হয় না। তখন চাঁদা দিতে পারবো না বলে জানালে তার লোকজন নৌকা তুলে দেবেন বলে হুমকি দেন। নৌকাঘাট বিলুপ্ত করে ট্রলার ঘাট বানানোর পায়তারা চালাচ্ছেন তারা।
নৌকার মাঝি জব্বার মিয়া বলেন, ‘অসৎ নেতারা ক্ষমতা দেখিয়ে জুলুম করে অন্যায়ভাবে ট্রলার চালায়। সরকার নদীতে নৌকা রাখবে না বলে হুমকি দেয়। পাশাপাশি বাড়িতে চলে যাওয়ার কথাও বলেন। ’
মানববন্ধনে নৌকার মাঝিরা ‘নৌকা বাঁচাও, নৌকার মাঝি বাঁচাও’, ‘অবৈধ ট্রলার নিপাত যাক, নৌকার মাঝির কর্মস্থল ঠিক থাক’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা, সেই নৌকা বাঁচানোর জন্য দাবি তোলেন মাঝিরা। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- মো. কালাম, সিরাজ, কাশেম, সেন্টু, হবি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
পিএস/আরবি/