মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ও পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নে শিগগিরই চট্টগ্রামের সঙ্গে নেপালের প্লেন যোগাযোগ শুরু হবে।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা যেতে পারে। এতে নেপাল থেকে ভারতের গ্রিড লাইনে সংযোগ দেবে আবার ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশ অংশে সংযোগ দিয়ে আনা যাবে। ভারত এতে রাজি না হলে নতুন করে লাইন স্থাপন করতে হবে। সবকিছু নির্ভর করবে ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্তের ওপর। এখানে ভারতের ভূমিকা অনেক বেশি।
প্রদীপ কুমার বলেন, আমরা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে রাজি। এটি শুধু নেপাল নয়, ভারত বাংলাদেশেরও সম্পদ। আমরা এখন বাংলাদেশের নৌবন্দর ব্যবহার করছি। স্থল বন্দরগুলো ব্যবহার করা গেলে আমদানি-রপ্তানি ব্যয় অনেক কমে যাবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মধাব কুমার সেপালের সঙ্গে আলোচনা করেছি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। রহনপুর করিডোর দিয়ে মোংলা থেকে রাজশাহী হয়ে নেপালে সরাসরি ট্রেন চলাচলের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। নেপালে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এটি নির্মাণ শেষ হলে আমরা আমাদের চাহিদার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবো।
স্বাগত বক্তব্যে বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান এম ফজলুল করিম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সর্ব প্রথম স্বীকৃতি জানায় নেপাল। দু’দেশ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে খুব কাছ থেকে আলোচনা করে। উন্নয়নের জন্য রয়েছে এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) মোটরগাড়ি র্যালি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। সীমান্ত দিয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ ও নেপালকে আলাদা করে রেখেছে ভারতের ২২ কিলোমিটার।
দু’দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হলে নেপালিরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সুন্দরবন, পার্বত্য জেলার আর্কষণীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। অপরদিকে বাংলাদেশিরা নেপালের ঐতিহাসিক পাহাড়গুলো দেখতে পারবেন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ডেন্টাল, মেডিক্যাল, নার্সিং, প্রকৌশল ও কৃষি বিষয়ে পড়ালেখা করতে আসছে নেপালি শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে আড়াইহাজারের বেশি নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এসই/আরবি/