আটককৃতরা হলেন: বাচ্চু শেখ (২৪), মালা বেগম (৩৩), লিপি বেগম (৩৭), খাদিজা বেগম (৫৮), বিল্লাল হোসেন (৩৩), রিয়াজুল ইসলাম (৩১), শামীম (৩৬) ও জহিরুল ইসলাম (৪৮)।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. কাইমুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বাস স্টপেজ এলাকায় টেকনাফ থেকে অভিনব কায়দায় ইয়াবা নিয়ে আসা চক্রের চারজনকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও চার জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের পেট ও গোপনাঙ্গ থেকে মোট ১৫ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
কাইমুজ্জামান খান বলেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে আমরা যখন ৪ জনকে আটক করি তাদের তল্লাশি করে কোনো ইয়াবা আমরা পাইনি। পরে আমরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করার পরে পেটে এবং গোপনাঙ্গে প্রচুর মাদকদ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আটক ব্যক্তিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতর এবং গোপনাঙ্গে ইয়াবা ঢুকিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসতো। আমরা এই চক্রের মূল হোতাদের খোঁজার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এমএমআই/এমএইচএম