শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তার স্বামী সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শহরের হাটখোলা এলাকায় মুন্নি আক্তার পিংকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে ।
নিহতের স্বজনরা জানায়, চার মাস আগে মুন্নি আক্তার পিংকির সঙ্গে হাটখোলা এলাকার আব্দুর সাত্তারের ছেলে সোহরাব হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে পিংকিকে নির্যাতন করে আসছিল সোহরাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পিংকির বাবার বাড়িতে এসে সোহরাব তার কাছে টাকা দাবি করে। কিন্তু পিংকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সোহরাব তাকে মারধর করে এবং তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে দগ্ধ হয় পিংকি। শরীরে আগুন নিয়ে বাঁচার জন্য সোহরাবকে জড়িয়ে ধরে পিংকি। এসময় সোহরাবের দুই হাত ও দুই পা সামন্য পুড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন পিংকিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত পিংকি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেও জানায় স্বজনরা।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পিংকির মা কাজল বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ সোহরাবকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
আরএ