সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে নকল মোবাইল বিক্রির বিরুদ্ধে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।
সরোয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডাটাবেজের আইএমইআই নম্বর আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের এ অভিযান দেশ ও দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে। বৈধ ও অরজিনাল সেটগুলোর দেওয়া গ্যারান্টির সময়কাল পর্যন্ত তা ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়, কিন্তু অবৈধ সেটগুলো খুব কম সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সরোয়ার আলম বলেন, অবৈধভাবে আসা সেটগুলো ব্যবহার করে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্রেতারা, তেমনি সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বৈধ মোবাইল সেট বিক্রেতারাও।
‘যেহেতু অবৈধভাবে আশা সেটগুলোর জন্য দিতে হচ্ছে না কোনো প্রকার ট্যাক্স, সেহেতু অবৈধ সেটগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমূল্যে। আর এতে বৈধ মোবাইল সেট বিক্রেতারা ট্যাক্স দিয়ে নির্ধারিত মূল্যে আকাঙ্ক্ষিত পরিমাণে সেট বিক্রয় করতে পারছে না। ’
পরিবেশগত দিক বিবেচনায় করে সারোয়ার আলম বলেন, একটি মোবাইল যদি তিন বছর ব্যবহারের পর নষ্ট হয়, তাহলে ওয়েস্টেজ হচ্ছে একটি। আর একটি মোবাইল যদি এক বছর পর নষ্ট হয়, তাহলে তিন বছরে নষ্ট হচ্ছে তিনটি মোবাইল। এতে পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ তিনগুণ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএমআই/আরবি/