এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে ব্রিজটি একটু একটু করে ভাঙছে। ব্রিজের ইট, বালু খসে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড।
এলাকাবাসীকে বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাফেলার করা নিদের্শনা দিয়ে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
তল্লাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আলম মোল্ল্যা বাংলানিউজকে বলেন, তল্লাবাড়িয়া থেকে নওয়াপাড়া এবং মহম্মদপুরসহ জেলার ৩০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই ব্রিজ। এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে রয়েছে কিন্তু তা যেন দেখার কেউ নেই। এই সড়কের উপর দিয়ে বর্তমানে নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেলসহ কোনো পণ্যবাহী যানবাহন চলাফেরা করতে পারে না। এতে চরম দুভোগে রয়েছেন ওইসব গ্রামের মানুষ।
ঘুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা দুদু মিয়া জানান, দশ চাকার ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারণেই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েকবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসার এসে মাটি পরীক্ষা করে চলে গেছেন। কিন্তু কোনো কাজ শুরু হয়নি এখনো। এই সড়কের ব্রিজটি যদি মেরামত করা বা নতুন করে তৈরি করা যায় তাহলে গ্রামবাসীর জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।
মহম্মদপুর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মহম্মদপুর তল্লাবাড়িয়া সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। আমরা সেতুটি পরিদর্শন করেছি। কাগজপত্র ঢাকায় পাঠিয়েছি। সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এক লাখ টাকা ব্যয়ে করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী মাসে টেণ্ডার হয়ে যাবে। মে মাসের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
আরএ