সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বারিধারা ডিওএইচএসের রোড নম্বর-২, বাসা নম্বর ২১৪, সপ্তম তলায় অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১১টায়। এনএসআই ও র্যাব-২ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
অভিযান শেষে র্যাব-২ (সিপিসি-২)-এর অধিনায়ক মেজর এইচএম পারভেজ আরেফিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এখানে অভিযান চালানো হয়। ‘উইনার ইন্টারন্যশনাল ট্রাভেলস’র মালিককে আটক করা হয়েছে। এখান থেকে চারজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন- আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, হাজী শফিক, আলী আকবর, ইসমাইল হোসেন। এ সময় প্রায় ১০০ পাসপোর্ট, ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম, মেডিক্যাল ফর্মসহ অন্য কাগজপত্র, টাকা আদায়ের রিসিট, আটটি ওয়াকি-টকি ও ১৭টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
পারভেজ আরেফিন বলেন, সাধারণ মানুষকে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এরফলে সাধারণ মানুষ আকর্ষিত হয়ে এজেন্সির ফাঁদে পড়ে নগদ টাকা দেন। বিদেশে মানুষ পাঠানোর নাম করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ‘উইনার ইন্টারন্যশনাল ট্রাভেলস’র মালিক আটকে রেখে চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করে আসছিল। ভুক্তভোগীরা টাকা চাইতে এলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএমআই/এনটি