মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সংবাদ পেয়ে হাজারীবাগ ঝাউচর নদীর পাড় থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আইন প্রক্রিয়া শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
জানা যায়, নিহত শেখ বাদল মিয়া মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বাসিন্দা। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি রায়েরবাজারের সুলতানগঞ্জ এলাকায় থাকতেন।
নিহত বাদল মিয়ার ভাতিজা শেখ বেলাল হোসেন জানান, ২১ তারিখের (শুক্রবার) রাত থেকে তার চাচা বাদল মিয়া নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ২২ তারিখে (শনিবার) হাজারীবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সংবাদ তিনি সংবাদ পান ঝাউচার নদীর পাড়ে তার চাচার মরদেহ পানি থেকে ভেসে উঠেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি মরদেহ সনাক্ত করেন।
শেখ বেলাল আরও জানান, রায়ের বাজারে চালের আড়ত ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সোনালী ট্রেডার্সের মালিক ছিলেন তার চাচা বাদল মিয়া।
বাদল মিয়ার সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তা পরিবারের জানা নেই। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা জানার জন্য পুলিশকে আহ্বান জানান শেখ বেলাল।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২১ তারিখ রাত থেকে বাদল মিয়া নিখোঁজ ছিলেন। ২২ তারিখে থানায় পরিবার একটি জিডি করেন। আজ দুপুরের দিকে ঝাউচর নদীর পাড় থেকে বাদলের পচে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় তার কোমরে ও গলায় রশি বাঁধা ছিল। এছাড়া গলায় রশির সঙ্গে দু’টি ইট বাঁধা ছিল।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এজেডএস/এবি