মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এবং পরে দুপুর ১২টার দিকে একটি ঘরে সভা চলাকালে দ্বিতীয় দফায় বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া সভা/সমাবেশ করার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
স্থানীয় যুবদল নেতারা জানান, পুলিশের ধাওয়া ও লাঠিচার্জে আহত হয় কেন্দ্রীয় যুবনেতা শামীম হোসেন, যুব নেতা শাহ আলম শানু, আল আমিন মোল্লা, ইকবাল বশির, আবুল বসার আক্কাস, আনোয়ার হোসেন আনু, মেরিন মোল্লা সম্রাট হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জন।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনার সময়ে তিনি পটুয়াখালী জেলা পুলিশের মিটিংয়ে ছিলেন। যুবদল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের খবর শুনেছেন।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মঈনুল হাসান জানান, দশমিনায় বিনা অনুমতিতে যুবদল সমাবেশ ডাকলে পুলিশ বাধা দেয়, এসময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় ২১ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিলন তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় যুবদলসহ সভাপতি যুবনেতা আজিজুল হাকিম আরজু, বরিশাল বিভাগীয় সহ সভাপতি আখতারুজ্জামান শামীম, যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ মাহফুজ, বিভাগীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিটন, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আকন বিপ্লব, পটুয়াখালী জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আলী খান কবির, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আশফাকুর রহমান বিপ্লব, থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক যুবায়ের হোসেন আক্কাসসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
আরএ