মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত হেনা আক্তার বরিশাল নগরের অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসিন্দা নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগের স্ত্রী।
জানা যায়, বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যয়নের সময় হেনা আক্তার ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সোহাগের স্বজনরা জানান, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা চালান হেনা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে হেনার স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরে সোহাগ মাঝে মাঝে হেনাকে মারধর করতেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস মীমাংসাও হয়েছে।
হেনার আত্মহত্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তার স্বজনেরা।
এদিকে সুরতহাল প্রতিবেদনে হেনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা পুলিশের একটি সূত্রে জানিয়েছে। সূত্রের তথ্যানুযায়ী হেনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকায় সোহাগকে মঙ্গলবার দুপুরে আটক করা হয়েছে।
তবে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর মুকুল জানান, হেনাকে শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে তার স্বামী সোহাগ দাবি করেন, হেনা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে রহস্য থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নিয়মানুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএস/এবি