তাদের খামারে রয়েছে বাজারিগার, প্রিন্স, ককাটেল, লাভ বার্ড, ডায়মন্ড ডাব, জাভা ও মুনিয়া প্রজাতির সাত থেকে আটশ পাখি। এর বাইরেও রয়েছে পারভীন, জালালি ও গিরিবাজ জাতের কবুতর।
তার খামারে উৎপাদিত পাখি বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ।
বাড়ির উঠানে খাঁচা ও কলোনি পদ্ধতিতে গড়ে তোলা এই খামারে পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় গ্রিড, চিনা কাউন, ধান, কলমি লতা, সমুদ্রের ফেনা, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি। এছাড়া ভিটামিন হিসেবে ব্যবহার করা হয় জিংক ভিটা।
সবুজ জানান, সকালে ও বিকেল পাখিদের খাবার দিতে হয়। এছাড়া সকালে একবার পানি দিলেই হয়। খুব বেশি রোগ বালাই হয় না এ পাখির। তবে মাঝে মধ্যে কোনো পাখির আমাশয় হতে পারে। আবার চর্বি জমে ডিম আটকে যায়। তখন কখনো সমুদ্রের ফেনা, কখনও ধান, জিংক ভিটা- পরিস্থিতি ভেদে এসব খাওয়ালে ঠিক হয়ে যায়।
পাখি পালন অত্যন্ত লাভজনক এবং সম্ভাবনাময় ব্যবসা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি মাসে তিন হাজার টাকার খাবার লাগে। এছাড়া আনুসাঙ্গিক সামান্য কিছু খরচ রয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়।
সবুজের দুলাভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম, ঠিক তখনই সবুজের সঙ্গে পাখি পালন শুরু করি। এর মধ্যে সুবজের পল্লী বিদ্যুতের চাকরি হয়ে গেলে তার খামারটি আমার বাড়ির উঠানে স্থানান্তর করি। এখন পাখি পালনই আমার পেশা। এতে তেমন ঝুঁকিও নেই। লাভজনকও বটে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই পাখির খামার করে আত্ম কর্মসংস্থান করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজারিগার চারশ টাকা জোড়া, লাভ বার্ড সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা, ককাটেল আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা, মুনিয়া দুইশ টাকা, প্রিন্স চারশ টাকা, জাভা এক হাজার দুইশ টাকা, ডায়মন্ড ডাব আটশ টাকা ও কবুতরের জোড়া দুইশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাখি বিক্রি করেই বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে তাদের।
সাইফুল বলেন, ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ করলে একটি ভাল খামার গড়ে তোলা সম্ভব। যেখানে লক্ষাধিক টাকার পাখি পালন করা যায় এবং এই খামার থেকেই প্রতিমাসে ন্যূনতম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। বেকার যুবকদের জন্য এটা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী পেশা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
আরএ