বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবশেষ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটেরের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
মহাখালী আইইডিসিআরের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ৭৮০ জন নিশ্চিত করেছে চীন। ২ হাজার ৬৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫১৮ জন আক্রান্ত্রের মধ্যে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চীনের বাইরে ২ আজার ৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিকে আমরা শুধু চীনকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সব সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। বর্তমানে প্রায় বিশ্বের সব দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দেশের বাইরে থেকে আসা সব নাগরিককে এয়ারপোর্ট ও বন্দরে স্ক্যানিং করা হচ্ছে। আমাদের সন্দেহ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবকর্মী একই নির্দেশে কাজ করছে।
সরকারের তিন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, প্রথমত আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী নেই। সেটাকে অ্যালার্ট লেভেল বলছি। আমরা বর্তমানে যেসব কর্মসূচি পালন করছি, তা অ্যালার্ট লেভেলের অংশ।
দ্বিতীয়ত, যদি করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়, তখন আমাদের কি করতে হবে। কোন পরিকল্পনায় এগুতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়া আছে।
তৃতীয়ত, যদি এ রোগটি ব্যাপক আকারে বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে আমাদের কী করণীয় তাও আমরা পরিকল্পনা করে রেখেছি।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি না এ রোগটি দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর জনস্বার্থে যেসব সচেতনতামূলক প্রস্তুতি নিয়েছে তাতে আমরা মনে করি না এ রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এ পরিকল্পনাগুলো পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
পিএস/ওএইচ/