বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সরাইখানা আইনে বলা আছে, আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন কারা অবস্থান করবে তাদের তালিকা নিকটস্থ থানায় জমা দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে হোটেলগুলোতে যাতে অসামাজিক কার্যকলাপ না হয় এবং হোটেল পরিচালনার যে নীতিমালা রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। হোটেলগুলোতে যাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড (ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ) না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ থাকবে পুলিশ।
যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, পাপিয়ার বিরুদ্ধে র্যাব তিনটি মামলা করেছে। ওইসব মামলায় পাপিয়া এখন ১৫ দিনের রিমান্ডে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলাগুলো ডিবিতে হস্তান্তর হয়েছে। এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ হয়নি। পাপিয়ার সঙ্গে কারা জড়িত, কারা ইন্ধনদাতা, তার অর্থের উৎস কী, তার এত বেপরোয়া হওয়ার পেছনে শক্তির উৎস কী, সবই তদন্ত করে দেখা হবে। এমনকি অনৈতিক বিষয় থাকলেও তদন্ত করে দেখা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি হোটেলে কি ধরনের কার্যকলাপ চলতে পারে, তাদের কি নিয়ম-কানুন আছে, কারা ভাড়া নিয়ে হোটেলে থাকতে পারবে, তা চেক করে দেখা হবে। এর বাইরে সেখানে কি কি করার নিয়ম আছে তাও দেখা হবে। পাপিয়ার অবস্থানের বিষয়ে হোটেলের কি দায় আছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
পাপিয়ার বিষয়ে কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে সেই অভিযোগগুলোও তদন্ত করা হবে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এমএমআই/জেডএস