বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ মিলে নাগরিক অধিকার আইনের নামে যে অযৌক্তিক অন্যায় করছেন, এতে ভারতের কিছু লোক প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
তিনি বলেন, নতুন এ হিটলারদের পরিকল্পনাকে সফল হতে দেওয়া যাবে না। এরা মানবতার শত্রু।
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়কে ইঙ্গিত করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে কিভাবে এই ঘৃণ্য ব্যক্তিকে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করে আমরা বুঝি না। আজকে মোদীকে এদেশে আমন্ত্রণ করা মানে শেখ মুজিবকে অপমান করা। আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি এমন অসম্মান মেনে নিতে পারি না। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিবেন। আমন্ত্রণ প্রত্যাহার না করলে এদেশের জনগণ বাধ্য হবে 'নরেন্দ্র মোদি ফিরে যাও' আন্দোলন করতে।
খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী আজকে বিচার পায় কিনা আমরা দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমি আশা করছি তিনি জামিন পাবেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করলে আজকে দায়িত্ব হবে মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেওয়া। দেশে চিকিৎসা কিংবা বিদেশে চিকিৎসা এটা তার ব্যাপার। কিন্তু এই মুহূর্তে তার একমাত্র চিকিৎসা উন্মুক্ত আলো বাতাস।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক আনোয়ার, রুবেল আকন্দ, কবির হোসেন জিহাদী, রায়হানুল ইসলাম রাজু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এমএইচ/এবি