জানা গেছে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি) ব্যাংকের ঢাকার বংশাল শাখা থেকে জালিয়াতি করে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। যে ঘটনায় ২০০৮ সালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে সড়ক বিভাগ।
২০১৬ সালে প্রত্যেককে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আউয়াল।
তিনি দাবি করেন, আব্দুল কাদেরই এলাকায় জুয়েল নামেই পরিচিত। তাকে এলাকায় সবাই জুয়েল নামেই চেনেন, বাবার নাম ও ঠিকানাও ঠিক রয়েছে। আর ভোটার কার্ড জন্ম-নিবন্ধন এগুলো ঢাকা থেকে এসে পরে ঠিক করেছেন।
তিনি জানান, যাচাই-বাছাই করে সঠিক আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার রায়ে জুয়েল রানার ১০ বছরের সাজা হয়।
যদিও আবদুল কাদেরের স্ত্রী হ্যাপি আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা বলছে, তার স্বামীর নাম জুয়েল নয়, তার নাম আব্দুল কাদের। এছাড়া যদি তিনি ব্যাংকের টাকা আত্মসাতই করতেন তাহলে বরিশালে এসে চাকরিই বা কেন করবেন আর কেনই প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াবেন।
তিনি জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে দুই সন্তানকে নিয়ে আর্থিক অনটনে রয়েছেন তারা। প্রায় থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনাগ্রস্ত হয়ে গেছেন, বন্ধ হয়ে গেছে আব্দুল কাদেরের মুরগির খামারটি বন্ধ হয়ে গেছে। আর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।
আর স্থানীয়রা বলছে, এইচএসসি পাস আবদুল কাদের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের সামনে স্ট্যাম্প বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছিলো, এর আগে সে বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ সোনারগাঁও টেক্সটাইলে চাকরি করতেন। তার বাবার নাম মৃত আয়নাল ঢালী। জুয়েল ও রানা নামের অনেকে থাকলেও আবদুল কাদের অন্যকোনো নামে পরিচিত নয়। তিনি আবদুল কাদের নামেই পরিচিত।
যখন চার্জশিট হয় তখন আসামির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয় জানিয়ে এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, কোথাও একটা ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম জানান, বিষয়টি জানার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কারো গাফিলতি থাকলে নিয়মানুযায়ী, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এমএস/এএটি