শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া দেওয়ানী বাজার গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত ফজর রহমানের ছেলে আদিতমারী উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য তমিজার রহমান (৪৫), মজিবর রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম (৩৩), তহদ্দিন ছেলে শিন্টু মিয়া (৫০), মন্টু মিয়ার ছেলে মশিউর রহমান (২৫), একই গ্রামের জাফর আলী (৬৫), তার ছেলে মজিবর রহমান (৩৮), তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (১৫) ও মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য আজহার আলী মন্টু (৫০)।
স্থানীয়রা জানান, দেওয়ানী বাজার গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে দিনমজুর মন্টু মিয়ার বসতবাড়ির জমি নিয়ে একই গ্রামের জাফরের ছেলে মজিবরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও আদালতে বিচারাধীন। স্থানীয়দের ডাকে পুলিশের উপস্থিতিতে জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি চূড়ান্ত নিস্পত্তির সিদ্ধান্ত হলেও তা মেনে নেননি মজিবর।
শুক্রবার দুপুরে দলবল নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করে দিনমজুর মন্টুর বাড়ির লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে বাড়িটি ভেঙে দেয় মজিবর ও তার লোকজন। পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে তাদেরও কীটনাশক স্প্রে করে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি মারপিট করে। এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাসহ উভয়পক্ষের আটজন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে বাংলানিউজকে জানান আহত যুবলীগ নেতা তমিজার রহমান।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডা. বিশ্বজিৎ কুণ্ড বাংলানিউজকে বলেন, আহতদের মধ্যে তিন জনকে আশঙ্কাজনকসহ চার জনকে রমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য চার জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জমি বিরোধের বিষয়টি চূড়ান্ত নিস্পত্তির চেষ্টা করা হলেও তা করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এসআরএস