ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জেল থেকে নির্দেশনা পাচ্ছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
জেল থেকে নির্দেশনা পাচ্ছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা

ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা জেলখানা থেকেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোজাম্মেল হক।

আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য দেন।

এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে আশুলিয়ার কাঠগড়ায় জঙ্গিদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে র‍্যাব।

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধামরাই থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক নারী সদস্যকেও আটক করে।

আটকরা হলেন: অলিউল ইসলাম ওরফে সম্রাট (২৩), মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ ওরফে আল্লাহর গোলাম (২০), সবুজ হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল্লাহ এবাজ উদ্দিন (২৬), আরিফুল হক ওরফে আরিফ (২০) ও রাশিদা ওরফে হুমায়রা (৩৩)।

মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা জেলখানা থেকেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। জেলখানায় থাকাকালে মিলছে দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শ। সেখানেই জঙ্গি কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা পাচ্ছে এবিটি সদস্যরা। পরে জামিনে বেরিয়ে ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা এবং সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে এবিটির শীর্ষ পর্যায়ের স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, জেলে থাকা জঙ্গিদের নির্দেশনা বাইরে আসছে। যদিও আটকের পর জঙ্গিরা জেলে বিভিন্ন সেলে থাকে। সেখানে কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ কম। কিন্তু যখন আত্মীয়-স্বজন দেখা করে, তখন পরোক্ষভাবে বাইরের জঙ্গিরা এই পরিচয়ে তাদের সংস্পর্শে আসে। সেখান থেকে বিভিন্ন বার্তা বাইরে আসছে এবং জঙ্গিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা করার সময় গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের থাকা উচিত। এটা হলে জেলখানা থেকে জঙ্গিবাদের যে তথ্য আসছে, সেটা বন্ধ হবে।

আটক জঙ্গি অলিউল ইসলাম আব্দুল্লাহ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এইচএসসি পাসের পর কিছুদিন স্থানীয় মসজিদে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন তিনি। এরপর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সম্পৃক্ততার কারণে ২০১৯ সালে আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। পরে জেলে থাকাকালীন দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শে আসেন এবং সেখানেই তাদের কাছ থেকেই জঙ্গিবাদের দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন।

আটক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএমআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।