ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মেরুদণ্ড পোশাকখাত: জার্মান রাষ্ট্রদূত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মেরুদণ্ড পোশাকখাত: জার্মান রাষ্ট্রদূত

ঢাকা: পোশাক খাতকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির মেরুদণ্ড বলে অভিহিত করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত টিপার ফারেনহোলজ।

সোমবার (২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ-জার্মানি কনসাল্টেশন অন ডেভলপমেন্ট কো-অপারেশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত।

জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশর প্রবৃদ্ধির মেরুদণ্ড হচ্ছে পোশাক রপ্তানি খাত। বর্তমানে বাংলাদেশ যে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) বাস্তবায়ন করছে, তা অর্জনেও এ খাতটির ওপর বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হবে।

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের এই সুবিধা পাওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আরও কয়েকটি খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষা করা জরুরি। কারণ সমাজকে একত্রিত রাখতে মানবাধিকার রক্ষা বিশেষভাবে জরুরি। রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরও টেকসই করার জন্য সুশাসন, বিশেষ করে আইনের শাসন ও সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতার ওপর অত্যধিক গুরুত্ব দিতে হবে। গত কয়েক বছর এ দেশে নির্বাচন নিয়ে যে সমালোচনা চলছে আমি মনে করি সরকার এটা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পারতো।

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এসব সমালোচনার প্রেক্ষাপটে আগামীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যযবেক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বলে জানান টিপার ফারেনহোলজ। তিনি বলেন, আমি মনে করি, কেউ সমালোচনা না করার মতো নির্বাচন করার সক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের আছে।
 
এসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে জার্মান এ প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। দুর্নীতি শুধু দেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
 
আলোচনা সভায় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবসনে বাংলাদেশের পক্ষে শক্ত অবস্থান ঘোষণা করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি জার্মানির অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ড. জার্ড মুলার বাংলাদেশ সফরের সময় পরিষ্কার করে বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জার্মানি বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের পাশে থাকবে।  

আলোচনা সভায় জার্মানির অর্থ ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশীয় বিভাগের প্রধান ড. উটে হিনবাক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জার্মান সরকারের যেসব কাজ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পালনের পাশাপাশি আগামীতে এই সম্পর্ক আরও সামনে এগিয়ে নিতে চাই।  

নুষ্ঠানে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত বলেন, জার্মানির অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে ১৭টি প্রকল্প রয়েছে। বৈঠকে বিশেষ করে জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে আলোচনা হবে। তবে জার্মান সরকার বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সমস্যাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০ 
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।