শিরিনা বেগম রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় দুপুরে নিহতের ভাই হাসেন আলী বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এর পরপরই স্বামী মামুন রশীদকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে শাশুড়ি মাজেদা বেওয়া (৫৫) পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে স্বামী মামুন রশীদ পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। মামুন রশীদ পেশায় ট্রাকচালক।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে মামুন রশীদের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে শিরিনা বেগম (৩০) বিয়ে হয়। ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী ছিলেন। স্বামীর পরকীয়া প্রেম ও যৌতুকের দাবি কারণে তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি হতো। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এ নিয়ে কখনও কখনও অমানুষিক নির্যাতন চালানো হতো ওই গৃহবধূর ওপর। সোমবার (২ মার্চ) রাতে মামুন রশীদ তার আট বছরের মেয়েকে নানীর কাছে ও চার বছরের ছেলেকে মামা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে রেখে যান। মধ্যরাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর শিরিনাকে মারধর ও পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মামুন রশীদ।
মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামুন রশীদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞেসাবাদ শেষে তাকে দুপুরে মধ্যেই আদালতে পাঠানো হবে। বর্তমানে শাশুড়িকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এসএস/ওএইচ/