বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রাপুর এলাকার মৃত মুন্সী রেজাউল করিমের ছেলে এবং নিহত শিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলামের ভাতিজা মুন্সী মো. সোহাগ (৩৫)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর এলকার রাজু আহম্মেদ (৩৫), কোমরকান্দি এলাকার রুবেল (৩৫) এবং দূর্গাপুর এলাকার আজাদ (৪০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলাম তার চাচাতো ভাইয়ের ইট-ভাটার কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ইটভাটার দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে ভাতিজা সোহাগের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল তার। এজন্য মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে ওই শিক্ষককে হুমকি ও ভয়ভীতি দিতো। ২৪ জানুয়ারি বাড়ি ফিরে বারান্দার গ্রিলের তালা খুলে ওই মোটরসাইকেলটি বারান্দায় উঠানোর সময় একদল সন্ত্রাসীরা ডান কানের উপর দিকে মাথায় একটি ও ডান পাঁজরে একটি গুলি করে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রবিউল ইসলামকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন ২৫ জানুয়ারি নিহত রবিউল ইসলামের মা হাওয়া খাতুন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এসএম আরিফুর রহমান ২০১৬ সালে ৩০ এপ্রিল চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, শিক্ষক রবিউল ইসলাম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার আপন ভাজিতা মুন্সী মো. সোহাগের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সবোর্চ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে মামলার বাকী তিন আসামিকে ৩০২/৩৪ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ বিজ্ঞ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এসএইচ