বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ে গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে এ বছর প্রথম থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। কয়েকদিন আগে দুই সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছি, কথা বলেছি।
ডেঙ্গু নিয়ে আগাম প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগাম প্রস্তুতি ছাড়াও নিয়মিত ফলোআপ করছি। আগামী ছয় থেকে এক বছরের ওষুধ উভয় সিটি করপোরেশনের কাছে মজুত আছে। এই সমস্ত ওষুধ স্প্রে করার জন্য যে পরিমাণ যন্ত্রপাতি দরকার সে পরিমাণ আছে বলে আমাকে অবহতি করা হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন প্রতি ওয়ার্ডে তারা ত্রিশজন করে লোকবল চেয়েছেন, সেইসব লোকবলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতবছর যে ওষুধ আনা হয়েছিল তার কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তখন বলা হয়েছিল পরে ওষুধ আনা হবে। এবছর যে ওষুধ আনা হবে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবছর যে ওষুধ আনা হয়েছে ও মজুত আছে তার কার্যকরিতা সম্পর্কে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা নিশ্চয়তা দিয়ছে। তারা বলেছে, এবারের ওষুধ নিয়ে কোনো রকমের প্রশ্ন আসবে না। একটি সীমাবদ্ধতার কথা না বললেই নয়, পরিবেশের যে সমস্ত ওষুধ স্প্রে করা হয়, তা থেকে কিছু কিছু প্রাণী যেমন মশা একটি প্রাণী মারা যাবে। কিন্তু অন্য কোনো প্রাণীর যেন কোনো ক্ষতি না হয়। সেজন্য ডব্লিউএইচও এর সার্টিফাইড প্রোডাক্টের বাইরে আমরা যেতে পারি না।
দক্ষিণের মেয়র দায়িত্ব নেবেন মে মাসে। তাহলে মশা নিধনের কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হবে কি না জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যিনি আছেন সঙ্গত কারণেই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেখানে একটি ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, অনেক কর্মকর্তা রয়েছে। সেই কর্মকর্তারা কাজ করবেন। আমরা আশা করি যে, বর্তমান মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন এবং মন্ত্রণালয় ফলোআপ করবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জার্মানির সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু কো-ফাইনান্সে কাজ করছি, সে সমস্ত প্রকল্পগুলোর বিনিয়োগের অবস্থাটা কী তা শেয়ারিং করার জন্য তারা এসেছেন। আজ সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন নদীগুলোর বিষয়ে তাদের উদ্বেগ ছিল সে বিষয়ে আমরা তাদের অবহিত করেছি। তারা তাতে সন্তুষ্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক জার্মানিতে রপ্তানি হয়। এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা বিদ্যুৎ ও গাড়ি শিল্প খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি/