বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মৃত ওই তরুণী পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার পূর্ব আলীপুর গ্রামের ইউনুসের মেয়ে।
নিহতের ভগ্নিপতি ফিরোজ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, দুই-ভাইবোনের মধ্যে মৌসুমী ছিলেন ছোট। ফুপাতো ভাই বিল্লালের সঙ্গে মৌসুমীর ৩/৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছরখানেক আগে মৌসুমীর সম্মতিতেই এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। এই ছেলের সঙ্গে মোবাইলফোনেও কথা বলতেন মৌসুমী। বিল্লালের সঙ্গে তার আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। বিল্লাল তিনমাস আগে মৌসুমীকে বিয়ে করেছেন এমন কাগজপত্র দেখায়।
তিনি আরও জানান, ওই বিষয়টি নিয়েই বুধবার (৪ মার্চ) দিনগত রাতে মা হালিমা বেগম মৌসুমীকে বকাঝকা করেন। রাত ১১টার দিকে মৌসুমী পাশের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোফাজ্জল হোসেন উল্লেখ করেন, মৌসুমী পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত তিনমাস আগে দূরসম্পর্কের ফুপাতো ভাই বিল্লালকে বিয়ে করেন। এই বিষয়টি বুধবার জানাজানি হওয়ার পর তার মা মৌসুমীকে বকাঝকা করেন। পরে মৌসুমী রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এজেডএস/এএটি