ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাকিবকে পেলেই দক্ষিণখানের ট্রিপল মার্ডার রহস্য উদঘাটন হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২০
রাকিবকে পেলেই দক্ষিণখানের ট্রিপল মার্ডার রহস্য উদঘাটন হবে

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেমবাগানের একটি বাসা থেকে উত্তরা বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই প্রকৌশলী রাকিব উদ্দিন নিখোঁজ। ফলে তাকে ঘিরেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। তাকে পেলে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে বাংলানিউজকে এসব কথা জানান দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মোহাম্মদ শামীম।  

ওসি শামীম বলেন, রাকিব উদ্দিনকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

তাকে পাওয়া গেলেই এ হত্যাকাণ্ডের মামলার রহস্য উদঘাটন হবে। রাকিবের ঋণের বিষয়ে বা তার ক্যাসিনো খেলায় লিপ্ত থাকার ব্যাপারে এখনও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।  

'প্রেমঘটিত কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে তেমন কিছুর সত্যতাও পাওয়া যায়নি। বাসায় পাওয়া ডায়রির নোটটি রাকিবের হাতে লেখা ছিল কিনা সে বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তাকে খুঁজে পেতে প্রশাসনের একাধিক টিম যৌথভাবে কাজ করেছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাকে আমরা খুঁজে পাবো। ' 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেমবাগান রোডের কেসি স্কুলের পাশে ৮৩৮ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে রাকিবের স্ত্রী মুন্নি রহমান (৩৮), তার ছেলে ফারহান উদ্দিন ভূঁইয়া (১২) ও মেয়ে লাইবা ভূঁইয়ার (৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

ঘটনার পর থেকেই রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া নিখোঁজ থাকায় এখনো এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলেনি। তবে স্বজনদের ধারণা, সম্প্রতি রাকিব বিভিন্ন জনের কাছে বেশ মোটা অঙ্কের ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে নিজেই স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে পলাতক থাকতে পারেন।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি ডায়েরিতে ‘ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করা হলো, আমাকে পাওয়া যাবে রেললাইনে’ এমন এক লাইন লেখা ঘিরে নিহত মুন্নির স্বামী রাকিবকেই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে রাকিব পালিয়ে গেছেন। তাকে পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এমএমআই/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।