বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে বাংলানিউজকে এসব কথা জানান দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মোহাম্মদ শামীম।
ওসি শামীম বলেন, রাকিব উদ্দিনকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
'প্রেমঘটিত কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে তেমন কিছুর সত্যতাও পাওয়া যায়নি। বাসায় পাওয়া ডায়রির নোটটি রাকিবের হাতে লেখা ছিল কিনা সে বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তাকে খুঁজে পেতে প্রশাসনের একাধিক টিম যৌথভাবে কাজ করেছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাকে আমরা খুঁজে পাবো। '
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেমবাগান রোডের কেসি স্কুলের পাশে ৮৩৮ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে রাকিবের স্ত্রী মুন্নি রহমান (৩৮), তার ছেলে ফারহান উদ্দিন ভূঁইয়া (১২) ও মেয়ে লাইবা ভূঁইয়ার (৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া নিখোঁজ থাকায় এখনো এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলেনি। তবে স্বজনদের ধারণা, সম্প্রতি রাকিব বিভিন্ন জনের কাছে বেশ মোটা অঙ্কের ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে নিজেই স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে পলাতক থাকতে পারেন।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি ডায়েরিতে ‘ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করা হলো, আমাকে পাওয়া যাবে রেললাইনে’ এমন এক লাইন লেখা ঘিরে নিহত মুন্নির স্বামী রাকিবকেই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে রাকিব পালিয়ে গেছেন। তাকে পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এমএমআই/এইচজে