বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্বাচিত নতুন-পুরাতন কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড সচিবদের কাছ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে জবাব চান আতিকুল ইসলাম।
তৃণমূলের সচিবের কাছে সরাসরি মশার ওষুধ দেওয়ার কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরা।
এদিন আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা এসেছি। আমাদের ওপর তাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা মশকমুক্ত শহর দেখতে চাই। মশক কর্মীরা যাতে ঠিক মতো কাজ করেন, এ জন্য তাদের তদারকি করতে হবে। অনেক মশক কর্মী ঠিক মতো কাজ করেন না। মশকনিধন কর্মী, ওয়ার্ড সচিব, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই।
যেসব বাড়িতে/স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করা হবে বলেও সভায় জানান তিনি।
সভায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আপনারা জানেন আমাদের শপথ গ্রহণের দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে, মশা যেন ভোট খেয়ে না ফেলে। তাই আমাদেরকে মশা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। আর যেন একটি মানুষও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, মশক নিধন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান, ফোরকান হোসেন, ফরিদ আহমেদ, কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মোবাশ্বের চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে