গ্রেফতার তিনজন হলেন- আসমা আক্তার ইভা (৩২), আরিফুল হক ওরফে আরিফ (৩৪) ও রানা ওরফে বাবু (২৪)।
পিবিআই জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার লাকসাম থেকে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ইভাকে ও নারায়ণগঞ্জ থেকে রোববার (০১ মার্চ) তার দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিকেলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বশির আহমেদ জানান, ২০১১ সালের ১৮ মার্চ রাজধানীর দক্ষিণ রাজারবাগের বাগপাড়া শেষমাথা খাল থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ভিকটিমের বাবা এ ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা করেন। ৭ বছর কোনো সুরাহা না হওয়ায় মামলাটি পিবিআই'র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পিবিআইর কর্মকর্তা জানান, ২০০৮ সালে ইভার সঙ্গে সুজনের বিয়ে হয়। পরে ২০০৯ সালে ডিভোর্স হয়। সুজন ইভাকে খুব ভালোবাসতো। তাই ডিভোর্সের পরও বাগপাড়ায় ইভার সঙ্গে দেখা করতে যেত সুজন। আর এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ইভার বড় ভাই আরিফ এবং ইভার প্রেমিক ফাইজুল। ইভার সঙ্গে দেখা করা নিয়ে আরিফ এবং ফাইজুলের সঙ্গে সুজনের একাধিকবার তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ ফাইজুল তার বন্ধু কুটি ও কালা বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ইভার বাসার সামনে বালুর মাঠে বসে সুজনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন সন্ধ্যার সময় আরিফ তাদের বাসার পাশে চায়ের দোকানে একটি সাদা পলিথিন ব্যাগ নিয়ে ফাইজুলের অপেক্ষা করছিল। পরে ফাইজুল একটি লাঠি নিয়ে আরিফের কাছে এলে তারা বাগপাড়া শেষমাথা খালের পাশে যায়। কিছুক্ষণ পর কালা বাবুও সেখানে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুটি সুজনকে খালপাড়ে ডেকে নিয়ে আসে। কথাবার্তার একপর্যায়ে ফাইজুল পেছন থেকে সুজনের দুই হাত ধরে আর তখনই কুটি পলিথিন ব্যাগ বের সুজনের মাথাসহ মুখ চেপে ধরে বেঁধে দেয়। আর আরিফ লাঠি দিয়ে সুজনকে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে সুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে তারা সুজনের মরদেহ খালে ফেলে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এমএমআই/আরএ