বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর ৪,৬ ও ৮ ধারা লংঘনের দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঘুমধুমের এএসবি ব্রিকস, মো. আসিফের ইউআরএম ব্রিকস, সোনাইছড়ির মারিগ্যাপাড়া প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন মনঞ্জুর আলমের মালিকাধীন এমএফজি ব্রিকস ফিল্ড নামে ৩টি ইটভাটা সর্ম্পূণভাবে এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত এএসবি ব্রিকস ফিল্ডের মালিক আবুল কালামকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে। বাকি ২টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।
অভিযানকালে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট একেএম সামিউল আলম খুরশি বলেন, ইটভাটাগুলি পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসন থেকে ইট পোড়ানো লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালনা করা হচ্ছিল।
এছাড়াও ইটভাটাগুলো লোকালয়ে এবং প্রাইমারি স্কুলের সঙ্গে লাগোয়া। পরিবেশের ক্ষতিকারক ইটভাটাগুলো ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এসব ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ ইটভাটা, পাহাড় কাটাসহ সব ধরনের পরিবেশগত ক্ষতি বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় ৩টি ইটভাটার ড্রাম চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট গুঁড়িয়ে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ভাটা স্থাপন করতে না পারে।
অভিযানকালে এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান চৌধুরী, বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক আবদুস সালাম, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
আরএ